🔥 যুদ্ধের কিনারায় ভারত-পাকিস্তান: কী ঘটছে কাশ্মীর সীমান্তে?
🎯 কী ঘটেছে?
ভারত সম্প্রতি কাশ্মীর সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার নাম দেয়া হয়েছে "অপারেশন সিন্দুর"। এই হামলায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে এবং ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জবাবে, পাকিস্তান দাবি করেছে যে তারা ভারতের বিমানঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং একাধিক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এতে আরও ১০ জন নিহত হয়েছে বলে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
🗣️ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলাকে “স্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণা” বলে অভিহিত করেছেন এবং জাতীয় সংসদে এক আবেগঘন ভাষণে ভারতের কাণ্ডকে “কাপুরুষোচিত” বলে আখ্যা দেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তান নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত এবং শত্রু বিমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজন হলে তা “সাগরে ছুঁড়ে ফেলবে”।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারতের এই অভিযানকে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন বলে নিন্দা করা হয়।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসলামাবাদ “দ্রুত প্রতিশোধ” নেবে এবং সেই সামরিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই চলছে।
🧭 ভারতের অবস্থান
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠীগুলি ভারতের বিরুদ্ধে আরও হামলার পরিকল্পনা করছিল। সেই কারণেই ভারত আগে থেকেই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
🏞️ মাটির মানুষের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
এই সহিংসতার মূল শিকার সাধারণ মানুষ। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ শহরের অনেক বাসিন্দা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পাহাড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
৪৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ শায়ের মীর বলেন, "হঠাৎ ঘরটা কেঁপে উঠল। আমরা সবাই আতঙ্কে পড়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে পাহাড়ে পালিয়ে যাই।"
🕊️ উপসংহার: এখন কোন পথে দক্ষিণ এশিয়া?
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই জটিল, বিশেষত কাশ্মীর নিয়ে। তবে এবারের সংঘর্ষ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি গুরুতর। দুটি দেশের মধ্যে যদি উত্তেজনা আরও বাড়ে, তবে তা শুধু এই অঞ্চলই নয়, সারা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো—কূটনৈতিক সংলাপ, শান্তির আহ্বান এবং আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ। যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়, বরং মানবিক বিপর্যয়ের দ্বার খুলে দেয়।